বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯

ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম pdf

ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম pdf

বন্ধুরা আজ ১৫ ই আগস্ট ২০১৯,ভারতের ৭৩ তম  স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তোমাদের সবাইকে  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট  "ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম" উপহার দিলাম। আশা করি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তোমরা এখন থেকে পাবে যা তোমাদের ভারতকে আরো ভালো করে চিনতে ও জানতে সাহায্য করবে।

ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম pdf
ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম pdf


ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম একনজরে

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯০ বছরের।  এবং একটা একটা করে ধাপ পেরিয়ে ভারত সেদিনটা পেয়েছিলো ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট। ভারতের ইতিহাস এ একাধিক মহান মানুষের অবদান রয়েছে। রয়েছে একাধিক আন্দোলন ও সংগ্রাম। একদম প্রথম থেকেই শুরু করা যাক। 



ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সূত্রপাত 

       ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সূচনা বাণিজ্যের হাত ধরে হয়েছিল ব্রিটিশরা প্রথম ভারতের সুরাট বন্দরে 1613 খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করেন তারপর 1717 খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ফারুকশিয়ারের ফরমান লাভের পর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবাধ বাণিজ্য চালু হয় কিন্তু অতি শীঘ্রই ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে তৎকালীন বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে দ্বন্দ্ব  বাদে

       পলাশীর যুদ্ধ (1957) : 1757  খ্রিস্টাব্দের 23 শে জুন উভয় পক্ষের মধ্যে মুর্শিদাবাদে অবস্থিত পলাশীর মাঠে সাংঘাতিক লড়াই হয় , যা ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত এই যুদ্ধে নবাব চূড়ান্তভাবে পরাজিত হন

       এই যুদ্ধের পর রবার্ট ক্লাইভ বাংলায় দৃঢ় হবে ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন

       ব্রিটিশ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভ বাংলার প্রথম গভর্নর নিযুক্ত হন

বক্সারের যুদ্ধ (1764)

মীর কাসিম মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে বসলে পুনরায় দ্বন্দ্ব  বাদে মীর কাসিম অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা  
দিল্লির বাদশা দ্বিতীয় শাহ আলমের সাথে মিলিত হয়ে  1764 খ্রিস্টাব্দে 22 অক্টোবর কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ 
ঘোষণা করে এই যুদ্ধে মীর কাসিম চূড়ান্তভাবে পরাজিত হলে বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের ভিত সুনিশ্চিত হয়

সিপাহী বিদ্রোহ  বা মহাবিদ্রোহ (1857)

       1857 খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ ছিল ভারতের প্রথম বৃহৎ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন

       ব্রিটিশ সরকার ওই সময় এক ধরনের বন্দুক এনফিল্ড রাইফেল এর প্রচলন করে যার কার্তুজ এর খোলস টি গরু এবং শুকরের চামড়া দ্বারা নির্মিত ছিল এবং এটি দাঁত দিয়ে কেটে ভরতে হতো এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সৈনিকদের ধর্মকে আঘাত করা এবং তাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা

       এই সময় সারা ভারতের  সৈনিক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বিদ্রোহের ঘোষণা করেন করে

       এই বিদ্রোহ সর্বপ্রথম ব্যারাকপুর এর সেনানিবাসের একজন সৈনিক মঙ্গল পান্ডে সূচনা করেন

       এই বিদ্রোহ সারা ভারত ব্যাপী চলেছিল এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল

       কিন্তু শেষ দিকে নেতৃত্তের অভাবে দেশবাসীর সহযোগিতার অভাবে বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল

জাতীয় কংগ্রেসের উত্থান

       উনিশ শতকের শেষ দিকে বিভিন্ন শিক্ষিত ভারতীয়দের হাত ধরে সমাজ সংস্কার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে ছিল তারপর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে

       1885 খ্রিস্টাব্দে 28 শে ডিসেম্বর ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়।

       উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি নিযুক্ত হন
তারপর ধীরে ধীরে গান্ধীজি, জহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কংগ্রেসে যোগদান করলে স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে

জাতীয় কংগ্রেসের উত্থান

       উনিশ শতকের শেষ দিকে বিভিন্ন শিক্ষিত ভারতীয়দের হাত ধরে সমাজ সংস্কার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে ছিল তারপর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে

       1885 খ্রিস্টাব্দে 28 শে ডিসেম্বর ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়।

       উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি নিযুক্ত হন
তারপর ধীরে ধীরে গান্ধীজি, জহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কংগ্রেসে যোগদান করলে স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে



স্বদেশী আন্দোলন বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন

       বিংশ শতকের শুরুতে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ধীরে ধীরে তীব্রতর হয়েছিল তাই 1905 সালে তৎকালীন ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বাংলায় হিন্দু মুসলমানের ঐক্য কে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বাংলা কে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিভাজন শাসন নীতি বা Divide and Rule Policy গ্রহণ করে এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন কে দুর্বল করা

       কিন্তু তৎকালীন শিক্ষিত বাঙালি ব্যক্তিত্বগন বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বন্দেমাতরম ধ্বনি দিয়ে স্বদেশী আন্দোলন কে আরো তীব্রতর করেন তৎকালীন বাংলার বিপ্লবীরা বিদেশি পণ্য অস্ত্র ইত্যাদি বর্জন করতে এবং স্বদেশী সামগ্রী গ্রহণ করত এটি স্বদেশী আন্দোলন নামে পরিচিত কিন্তু স্বদেশী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়

       ব্রিটিশ সরকার মনে করে যে কংগ্রেস কলকাতা থেকে সমগ্র ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করছেন তাই সরকার 1911 সালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিবর্তন করে দিল্লিতে প্রতিষ্ঠা করে

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

       রাওলাট আইন (1919): ব্রিটিশ সরকার ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন রুখতে ইংল্যান্ডের বিচারপতি স্যার সিডনি রাওলাট এর সভাপতিত্বে 5 জন সদস্য কে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে এটি রাওলাট কমিশন বা সিডিশন কমিশন নামে পরিচিত ছিল

       এই রাওলাট কমিশন 1919 খ্রিস্টাব্দের 18 মার্চ একটি বিল পাস করে যা রাওলাট আইন নামে পরিচিত ছিল এই আইন অনুযায়ী ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সবরকম স্বাধীনতা খর্ব করে যেমন বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার, প্রচারকার্যে বাধা, বিনা বিচারে শাস্তি প্রদান, আপিলে নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি

       এই আইনের বিরুদ্ধে 1919 সালের 13 এপ্রিল অমৃতসর শহরের পূর্ব দিকে অবস্থিত জালিয়ানওয়ালাবাগের মাঠে শান্তিপূর্ণ এক সমাবেশে প্রায় 10 হাজার মানুষ যোগদান করে এই মাটি ছিল পায় প্রাচীর দ্বারা ঘেরা এবং একটি মাত্র ঢোকার বের হবার রাস্তা ছিল

       এই সময়ে সামরিক শাসন কর্তা মাইকেল ডায়ার তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হন এবং নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতে থাকেন এর ফলে 379 জন মারা যায় এবং 1200 জন আহত হয়, এটি জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড নামে পরিচিত

অসহযোগ আন্দোলন

       জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের  পর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করে কিন্তু এই আন্দোলন পুরোপুরি রূপে সম্পুর্ণ হয়নি কারণ জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের পর ভারতীয় জনগণের মনে ব্রিটিশদের প্রতি হিংসা বেড়ে গিয়েছিল তাই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সম্পূর্ণ হয়নি

       চৌরিচৌরা হত্যাকাণ্ড : অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন 1922 সালের 5 ফেব্রুয়ারি ভারতের কিছু ক্ষুব্ধ বিপ্লবীগন গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা নামক স্থানের একটি থানাতে আক্রমণ করে এবং তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এর ফলে 23 জন পুলিশ মারা যান, এটি চৌরিচৌরা হত্যাকান্ড নামে পরিচিত

       এই ঘটনার পরে অহিংসার পূজারি গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন কে স্থগিত রাখার আদেশ দেন ফলে অসহযোগ আন্দোলন অসম্পূর্ণ থেকে যায়

আইন অমান্য আন্দোলন

       অসহযোগ আন্দোলনের পর গান্ধীজী 1930 খ্রিস্টাব্দের 12 মার্চ 78 জন অনুদানসহ সবরমতী আশ্রম থেকে গুজরাটের ডান্ডি অঞ্চলে 200 মাইল যাত্রা শুরু করে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করেন ইতিহাসে এটি ডান্ডি অভিযান নামে পরিচিত

       এই আন্দোলন ব্রিটিশদের প্রতিতীব্রতর হয়ে উঠেছিল এই আন্দোলনে সমগ্র ভারতবাসী অংশগ্রহণ করেছিল বিপ্লবীরা আন্দোলন চলাকালীন তৎকালীন স্কুল কলেজ অফিস সবকিছু বন্ধ করে দেন ফলে গোটা ভারত ভাবি এক বন্দের সৃষ্টি হয় তারা বিরোধী জিনিসপত্র রাস্তায় জ্বালা দিতে থাকে সমগ্র ভারত বাসি ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল অসহযোগ আন্দোলনের অসম্পূর্ণ কাজ আইন অমান্য আন্দোলনের ধারা সমাপ্ত হয় কিন্তু তখনও স্বাধীনতা অনেক দূরে ছিল

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ বাহিনী

       এইসব ঘটনার পর ভারতের রাজনীতি সুভাষচন্দ্র বসুর আগমন হয়

       সুভাষচন্দ্র বসু 1938 সালে হরিপুরা কংগ্রেসের অধিবেশনে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন যেটি গান্ধীজীর মতের বিরুদ্ধে হয়েছিল

       সুভাষচন্দ্র বসু 1939 সালে পুনরায় কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।কিন্তু তারপর তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে তার বিখ্যাত ফরওয়ার্ড ব্লক (1939)  তৈরি করেন

       সুভাষচন্দ্র বসুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের স্বাধীনতা এমনি দেবে না তার জন্য লড়াই করতে হবে তাই তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হাতে বন্দী হওয়া ভারতীয় সৈনিকদের নিয়ে তার সুবিশাল আজাদ হিন্দ বাহিনী গড়ে তোলেন এই বাহিনী পাঁচটি বিভক্ত ছিল যথা-ঝাঁসির রানী ব্রিগেড, আজাদ ব্রিগেড, গান্ধী ব্রিগেড, নেহেরু ব্রিগেড, সুভাষ ব্রিগেড

       তৎকালীন ভারতে আজাদ হিন্দ বাহিনী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ব্রিটিশদের এক বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই সময় সুভাষচন্দ্র বসু দিল্লি চলো স্লোগানে আজাদ হিন্দ বাহিনী কে নিয়ে মনিপুর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার এই চেষ্টা সফল হয়নি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান আত্মসমর্পণ করার পর আজাদ হিন্দ বাহিনী ভেঙে পড়ে কিন্তু এই কথাটা বলা যায় যে সুভাষচন্দ্র বসুর এই প্রচেষ্টা ভারতীয় স্বাধীনতার পথে অনেকটা পথ হেঁটে ছিল

ভারত ছাড়ো আন্দোলন

       কিস প্রস্তাব ব্যর্থ হলে ভারতীয় জনমানসে তীব্র অসন্তোষ এর জন্ম নেয় এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপট রচনা করে

       তারপর 1942 সালে 8 আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয়।এই আন্দোলনের তৎকালীন সমগ্র ভারতবাসী যোগদান করেন

        ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কৃষক শ্রমিক, নারী পুরুষ,ছাত্র-ছাত্রীর নির্বিশেষে সরকার এর বিরোধিতায় গণ আন্দোলনে অংশ নেয়

       এই আন্দোলনের পরে সমগ্র ভারত জাতীয় কংগ্রেসের একটি প্রভাব সৃষ্টি হয়



     স্বাধীনতা লাভ

       ভারতের বিভিন্ন গণআন্দোলনের পর ব্রিটিশ সরকারের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে পড়ে ফলে ব্রিটিশ সরকার খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে ব্রিটিশদের হাত থেকে 190 বছর পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে

       ভারতীয় স্বাধীনতা বিল 1947 সালের 4 জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হয় এবং তা 18 জুলাই রাজকীয় সম্মতি লাভ করে

       তারপর 1947 সালের 15 আগস্ট ব্রিটিশ সরকার ভারতকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হয়

এই হলো আধুনিক  ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম। 
এবার আমরা আরো কিছু তথ্য দেখে নেবো -

ভারতের জাতীয় প্রতীক

       ভারতের জাতীয় প্রতীক সারনাথের সিংহ চিহ্নিত অশোক স্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে

       1950 সালের 26 জনুয়ারি ভারত প্রজাতন্ত্র দেশ হিসাবে ঘোষিত হওয়ার পর সরকারি ভাবে এই প্রতীক নেওয়া হয়।

       সারনাথের মূল অশোক স্তম্ভের চারটি সিংহ পিঠে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিচের আধারটি তে হাতি, ছুটন্ত ঘোড়া, ষাঁড় সিংহের রয়েছে এই চারটি প্রাণীর রিলিফ কে পৃথক করতে তাদের মাঝে রয়েছে অশোক চক্র এবং পুরো স্তম্ভটি রয়েছে একটি পদ্ম ফুলের উপর

       সরকার যে প্রতীকটি গ্রহণ করেছে তাদের 4 এর বদলে তিনটি সিংহ দৃশ্যমান চতুর্থ সিংহটি দেখা যায় না

ভারতের জাতীয় পতাকা

       ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকায় গেরুয়া, সাদা সবুজ রং সমান্তরালভাবে ক্রমানুসারে উপর থেকে নিচে সমান আয়তনে ব্যবহৃত পতাকার আকার এর ক্ষেত্রে এর চওড়া লম্বার তিনভাগের দুইভাগ হতে হয়। পতাকার কেন্দ্রে সাদার মধ্যে ঘন নীল রঙের অশোক চক্র রয়েছে নিয়মানুযায়ী চক্রের ব্যাস সাদা রঙের অংশের সমান হতে হবে এবং ওই চক্রের 24 টি স্পোক থাকবে

       পতাকার গেরুয়া সাহসের,পতাকার সাদা সত্য শান্তির এবং সবুজ বিশ্বাস প্রাচুর্যের প্রতীক

       ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা করেছেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া

       জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা টি 1947 সালের 22 জুন গণপরিষদ এর সভায় অনুমোদিত হয়।

ভারতের জাতীয় সংগীত

    1950 সালের 24 জানুয়ারি সাংবিধানিক সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগণমন গানটি জাতীয় সংগীত হিসাবে গ্রহণ করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

       1911 সালের 27 ডিসেম্বর কলকাতায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে গানটি প্রথম গাওয়া হয়।

       পাঁচ স্তবকের গানটির প্রথম স্তবকটি জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে নির্দিষ্ট

       পুরো জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় প্রায় 52 সেকেন্ড
Download the pdf file




 সম্পূর্ণ ৫০০০ বাংলা জিকের পি ডি এফ ফাইলটি ডাউনলোড করুন

Download



সম্পূর্ণ জুলাই মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর পি ডি এফ ফাইল ডাউনলোড করে নাও 

 সম্পূর্ণ 2019 এর জুন মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর পি ডি এফ ফাইল ডাউনলোড  করুন।
Download pdf


বাংলাতে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স , জেনারেল সাইন্স, ভারতের ইতিহাস, ভারত ও বিশ্বের ভূগোল, ভারতীয় সংবিধান এবং মিসলেলিনিয়াস জি কে এর MCQ - CLICK HERE

২০১৮ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ এক বছরের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর পি ডি এফ ফাইল ডাউনলোড করে নাও 


এছাড়াও তোমরা দেখতে পারো 

মিসসেলিনিয়াস জিকে
Recently published (New)