ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম pdf
বন্ধুরা আজ ১৫ ই আগস্ট ২০১৯,ভারতের ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তোমাদের সবাইকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট "ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম" উপহার দিলাম। আশা করি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তোমরা এখন থেকে পাবে যা তোমাদের ভারতকে আরো ভালো করে চিনতে ও জানতে সাহায্য করবে।
![]() |
ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম pdf |
ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম একনজরে
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯০ বছরের। এবং একটা একটা করে ধাপ পেরিয়ে ভারত সেদিনটা পেয়েছিলো ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট। ভারতের ইতিহাস এ একাধিক মহান মানুষের অবদান রয়েছে। রয়েছে একাধিক আন্দোলন ও সংগ্রাম। একদম প্রথম থেকেই শুরু করা যাক।
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সূত্রপাত
• ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সূচনা বাণিজ্যের হাত ধরে হয়েছিল। ব্রিটিশরা প্রথম ভারতের সুরাট বন্দরে 1613 খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করেন।
তারপর 1717
খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ফারুকশিয়ারের ফরমান লাভের পর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবাধ বাণিজ্য চালু হয়।
কিন্তু অতি শীঘ্রই ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে তৎকালীন বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে দ্বন্দ্ব
বাদে।
• পলাশীর যুদ্ধ (1957) : 1757 খ্রিস্টাব্দের 23 শে জুন উভয় পক্ষের মধ্যে মুর্শিদাবাদে অবস্থিত পলাশীর মাঠে সাংঘাতিক লড়াই হয় , যা ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত।
এই যুদ্ধে নবাব চূড়ান্তভাবে পরাজিত হন।
• এই যুদ্ধের পর রবার্ট ক্লাইভ বাংলায় দৃঢ় হবে ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
• ব্রিটিশ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভ বাংলার প্রথম গভর্নর নিযুক্ত হন।
বক্সারের যুদ্ধ (1764)
মীর কাসিম মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে বসলে পুনরায় দ্বন্দ্ব
বাদে।
মীর কাসিম অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা ও
দিল্লির বাদশা দ্বিতীয় শাহ আলমের সাথে মিলিত হয়ে
1764 খ্রিস্টাব্দে 22 অক্টোবর কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ
ঘোষণা করে।
এই যুদ্ধে মীর কাসিম চূড়ান্তভাবে পরাজিত হলে বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের ভিত সুনিশ্চিত হয়।
সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহ (1857)
• 1857 খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ ছিল ভারতের প্রথম বৃহৎ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন।
• ব্রিটিশ সরকার ওই সময় এক ধরনের বন্দুক এনফিল্ড রাইফেল এর প্রচলন করে যার কার্তুজ এর খোলস টি গরু এবং শুকরের চামড়া দ্বারা নির্মিত ছিল এবং এটি দাঁত দিয়ে কেটে ভরতে হতো। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সৈনিকদের ধর্মকে আঘাত করা এবং তাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা।
• এই সময় সারা ভারতের
সৈনিক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং বিদ্রোহের ঘোষণা করেন করে।
• এই বিদ্রোহ সর্বপ্রথম ব্যারাকপুর এর সেনানিবাসের একজন সৈনিক মঙ্গল পান্ডে সূচনা করেন।
• এই বিদ্রোহ সারা ভারত ব্যাপী চলেছিল এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
• কিন্তু শেষ দিকে নেতৃত্তের অভাবে ও দেশবাসীর সহযোগিতার অভাবে বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল।
জাতীয় কংগ্রেসের উত্থান
• উনিশ শতকের শেষ দিকে বিভিন্ন শিক্ষিত ভারতীয়দের হাত ধরে সমাজ সংস্কার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে ছিল। তারপর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।
• 1885 খ্রিস্টাব্দে 28
শে ডিসেম্বর ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়।
• উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি নিযুক্ত হন।
তারপর ধীরে ধীরে গান্ধীজি,
জহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কংগ্রেসে যোগদান করলে স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে।
জাতীয় কংগ্রেসের উত্থান
• উনিশ শতকের শেষ দিকে বিভিন্ন শিক্ষিত ভারতীয়দের হাত ধরে সমাজ সংস্কার আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে ছিল। তারপর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।
• 1885 খ্রিস্টাব্দে 28
শে ডিসেম্বর ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়।
• উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি নিযুক্ত হন।
তারপর ধীরে ধীরে গান্ধীজি,
জহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কংগ্রেসে যোগদান করলে স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে।
স্বদেশী আন্দোলন বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন
• বিংশ শতকের শুরুতে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ধীরে ধীরে তীব্রতর হয়েছিল। তাই 1905
সালে তৎকালীন ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বাংলায় হিন্দু ও
মুসলমানের ঐক্য কে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বাংলা কে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিভাজন ও শাসন নীতি বা Divide
and Rule Policy গ্রহণ করে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন কে দুর্বল করা।
• কিন্তু তৎকালীন শিক্ষিত বাঙালি ব্যক্তিত্বগন বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বন্দেমাতরম ধ্বনি দিয়ে স্বদেশী আন্দোলন কে আরো তীব্রতর করেন।
তৎকালীন বাংলার বিপ্লবীরা বিদেশি পণ্য অস্ত্র ইত্যাদি বর্জন করতে এবং স্বদেশী সামগ্রী গ্রহণ করত এটি স্বদেশী আন্দোলন নামে পরিচিত।
কিন্তু স্বদেশী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
• ব্রিটিশ সরকার মনে করে যে কংগ্রেস কলকাতা থেকে সমগ্র ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করছেন তাই সরকার 1911
সালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিবর্তন করে দিল্লিতে প্রতিষ্ঠা করে।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড
• রাওলাট আইন (1919): ব্রিটিশ সরকার ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন রুখতে ইংল্যান্ডের বিচারপতি স্যার সিডনি রাওলাট এর সভাপতিত্বে 5 জন সদস্য কে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে।
এটি রাওলাট কমিশন বা সিডিশন কমিশন নামে পরিচিত ছিল।
• এই রাওলাট কমিশন 1919
খ্রিস্টাব্দের 18
ই
মার্চ একটি বিল পাস করে যা রাওলাট আইন নামে পরিচিত ছিল। এই আইন অনুযায়ী ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সবরকম স্বাধীনতা খর্ব করে।
যেমন বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার,
প্রচারকার্যে বাধা,
বিনা বিচারে শাস্তি প্রদান, আপিলে নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি।
• এই আইনের বিরুদ্ধে 1919
সালের 13
এপ্রিল অমৃতসর শহরের পূর্ব দিকে অবস্থিত জালিয়ানওয়ালাবাগের মাঠে শান্তিপূর্ণ এক সমাবেশে প্রায়
10 হাজার মানুষ যোগদান করে।
এই মাটি ছিল পায় প্রাচীর দ্বারা ঘেরা এবং একটি মাত্র ঢোকার ও বের হবার রাস্তা ছিল।
• এই সময়ে সামরিক শাসন কর্তা মাইকেল ডায়ার তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হন এবং নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতে থাকেন।
এর ফলে 379 জন মারা যায় এবং 1200 জন আহত হয়,
এটি জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড নামে পরিচিত।
অসহযোগ আন্দোলন
• জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের পর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করে।
কিন্তু এই আন্দোলন পুরোপুরি রূপে সম্পুর্ণ হয়নি কারণ জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের পর ভারতীয় জনগণের মনে ব্রিটিশদের প্রতি হিংসা বেড়ে গিয়েছিল।
তাই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সম্পূর্ণ হয়নি।
• চৌরিচৌরা হত্যাকাণ্ড : অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন 1922
সালের 5 ফেব্রুয়ারি ভারতের কিছু ক্ষুব্ধ বিপ্লবীগন গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা নামক স্থানের একটি থানাতে আক্রমণ করে এবং তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এর ফলে 23 জন পুলিশ মারা যান, এটি চৌরিচৌরা হত্যাকান্ড নামে পরিচিত।
• এই ঘটনার পরে অহিংসার পূজারি গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন কে স্থগিত রাখার আদেশ দেন।
ফলে অসহযোগ আন্দোলন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
আইন অমান্য আন্দোলন
• অসহযোগ আন্দোলনের পর গান্ধীজী 1930 খ্রিস্টাব্দের 12
মার্চ
78 জন অনুদানসহ সবরমতী আশ্রম থেকে গুজরাটের ডান্ডি অঞ্চলে 200 মাইল যাত্রা শুরু করে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করেন।
ইতিহাসে এটি ডান্ডি অভিযান নামে পরিচিত।
• এই আন্দোলন ব্রিটিশদের প্রতিতীব্রতর হয়ে উঠেছিল।
এই আন্দোলনে সমগ্র ভারতবাসী অংশগ্রহণ করেছিল।
বিপ্লবীরা আন্দোলন চলাকালীন তৎকালীন স্কুল কলেজ অফিস সবকিছু বন্ধ করে দেন ফলে গোটা ভারত ভাবি এক বন্দের সৃষ্টি হয়।
তারা বিরোধী জিনিসপত্র রাস্তায় জ্বালা দিতে থাকে।
সমগ্র ভারত বাসি ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।
অসহযোগ আন্দোলনের অসম্পূর্ণ কাজ আইন অমান্য আন্দোলনের ধারা সমাপ্ত হয়। কিন্তু তখনও স্বাধীনতা অনেক দূরে ছিল।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ বাহিনী
• এইসব ঘটনার পর ভারতের রাজনীতি সুভাষচন্দ্র বসুর আগমন হয়।
• সুভাষচন্দ্র বসু
1938 সালে হরিপুরা কংগ্রেসের অধিবেশনে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। যেটি গান্ধীজীর মতের বিরুদ্ধে হয়েছিল।
• সুভাষচন্দ্র বসু 1939
সালে পুনরায় কংগ্রেসের ত্রিপুরী অধিবেশন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।কিন্তু তারপর তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে তার বিখ্যাত ফরওয়ার্ড ব্লক
(1939) তৈরি করেন।
• সুভাষচন্দ্র বসুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের স্বাধীনতা এমনি দেবে না তার জন্য লড়াই করতে হবে তাই তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হাতে বন্দী হওয়া ভারতীয় সৈনিকদের নিয়ে তার সুবিশাল আজাদ হিন্দ বাহিনী গড়ে তোলেন।
এই বাহিনী পাঁচটি বিভক্ত ছিল যথা-ঝাঁসির রানী ব্রিগেড,
আজাদ ব্রিগেড, গান্ধী ব্রিগেড, নেহেরু ব্রিগেড, সুভাষ ব্রিগেড।
• তৎকালীন ভারতে আজাদ হিন্দ বাহিনী ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ব্রিটিশদের এক বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এই সময় সুভাষচন্দ্র বসু দিল্লি চলো স্লোগানে আজাদ হিন্দ বাহিনী কে নিয়ে মনিপুর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার এই চেষ্টা সফল হয়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান আত্মসমর্পণ করার পর আজাদ হিন্দ বাহিনী ভেঙে পড়ে। কিন্তু এই কথাটা বলা যায় যে সুভাষচন্দ্র বসুর এই প্রচেষ্টা ভারতীয় স্বাধীনতার পথে অনেকটা পথ হেঁটে ছিল।
ভারত ছাড়ো আন্দোলন
• কিস প্রস্তাব ব্যর্থ হলে ভারতীয় জনমানসে তীব্র অসন্তোষ এর জন্ম নেয় এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপট রচনা করে।
• তারপর 1942
সালে 8 ই
আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয়।এই আন্দোলনের তৎকালীন সমগ্র ভারতবাসী যোগদান করেন।
• ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কৃষক শ্রমিক, নারী পুরুষ,ছাত্র-ছাত্রীর নির্বিশেষে সরকার এর বিরোধিতায় গণ আন্দোলনে অংশ নেয়।
• এই আন্দোলনের পরে সমগ্র ভারত জাতীয় কংগ্রেসের একটি প্রভাব সৃষ্টি হয়।
স্বাধীনতা লাভ
• ভারতের বিভিন্ন গণআন্দোলনের পর ব্রিটিশ সরকারের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে পড়ে ফলে ব্রিটিশ সরকার খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে ব্রিটিশদের হাত থেকে 190 বছর পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।
• ভারতীয় স্বাধীনতা বিল 1947
সালের 4 জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হয় এবং তা 18 জুলাই রাজকীয় সম্মতি লাভ করে।
• তারপর 1947
সালের 15
আগস্ট ব্রিটিশ সরকার ভারতকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হয়।
এই হলো আধুনিক ভারতের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রাম।
এবার আমরা আরো কিছু তথ্য দেখে নেবো -
ভারতের জাতীয় প্রতীক
• ভারতের জাতীয় প্রতীক সারনাথের সিংহ চিহ্নিত অশোক স্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে।
• 1950 সালের
26 জনুয়ারি ভারত প্রজাতন্ত্র দেশ হিসাবে ঘোষিত হওয়ার পর সরকারি ভাবে এই প্রতীক নেওয়া হয়।
• সারনাথের মূল অশোক স্তম্ভের চারটি সিংহ পিঠে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিচের আধারটি তে হাতি, ছুটন্ত ঘোড়া, ষাঁড় ও
সিংহের রয়েছে।
এই চারটি প্রাণীর রিলিফ কে পৃথক করতে তাদের মাঝে রয়েছে অশোক চক্র।
এবং পুরো স্তম্ভটি রয়েছে একটি পদ্ম ফুলের উপর।
• সরকার যে প্রতীকটি গ্রহণ করেছে তাদের 4 এর বদলে তিনটি সিংহ দৃশ্যমান। চতুর্থ সিংহটি দেখা যায় না।
ভারতের জাতীয় পতাকা
• ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকায় গেরুয়া, সাদা ও সবুজ রং সমান্তরালভাবে ক্রমানুসারে উপর থেকে নিচে সমান আয়তনে ব্যবহৃত।
পতাকার আকার এর ক্ষেত্রে এর চওড়া লম্বার তিনভাগের দুইভাগ হতে হয়। পতাকার কেন্দ্রে সাদার মধ্যে ঘন নীল রঙের অশোক চক্র রয়েছে। নিয়মানুযায়ী চক্রের ব্যাস সাদা রঙের অংশের সমান হতে হবে এবং ওই চক্রের
24 টি স্পোক থাকবে।
• পতাকার গেরুয়া ও
সাহসের,পতাকার সাদা সত্য ও শান্তির এবং সবুজ বিশ্বাস ও
প্রাচুর্যের প্রতীক।
• ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা করেছেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া।
• জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা টি
1947 সালের
22 জুন গণপরিষদ এর সভায় অনুমোদিত হয়।
ভারতের জাতীয় সংগীত
• 1950 সালের
24 জানুয়ারি সাংবিধানিক সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগণমন গানটি জাতীয় সংগীত হিসাবে গ্রহণ করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
• 1911 সালের
27 ডিসেম্বর কলকাতায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে গানটি প্রথম গাওয়া হয়।
• পাঁচ স্তবকের গানটির প্রথম স্তবকটি জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে নির্দিষ্ট।
সম্পূর্ণ ৫০০০ বাংলা জিকের পি ডি এফ ফাইলটি ডাউনলোড করুন
Download
সম্পূর্ণ জুলাই মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর পি ডি এফ ফাইল ডাউনলোড করে নাও
সম্পূর্ণ 2019 এর জুন মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর পি ডি এফ ফাইল ডাউনলোড করুন।
Download pdf
বাংলাতে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স , জেনারেল সাইন্স, ভারতের ইতিহাস, ভারত ও বিশ্বের ভূগোল, ভারতীয় সংবিধান এবং মিসলেলিনিয়াস জি কে এর MCQ - CLICK HERE
২০১৮ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ এক বছরের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর পি ডি এফ ফাইল ডাউনলোড করে নাও
মিসসেলিনিয়াস জিকে
Recently published (New)
- ➤ ICC Cricket World Cup 2019 Gk in Bengali
- ➤ ২০১৯ সাধারণ বাজেট
- ➤ বিভিন্ন কোম্পানির ও ব্যাংকের CEO pdf download
- ➤ Awards and Honors 2019
- ➤ বিভিন্ন নদী ও তার তীরবর্তী শহরগুলির তালিকা
- ➤ 2019 সালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই ও তাদের লেখক
- ➤ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা
- ➤ ভারতের প্রতিটি রাজ্যের আসন সংখ্যা
- ➤ ভারতের প্রতিটি রাজ্যের লোকনৃত্য
- ➤ 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
- ➤ ভারতের সমস্ত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের সম্পূর্ণ তালিকা
- ➤ 2019 এর বিশ্বের বিভিন্ন সূচকে ভারতের স্থান
- ➤ 2019 এর ভারতের কিছু গুরুত্তপুর্ণ পদের নতুন নিয়োগ
- ➤ 2019 এর গুরুত্তপুর্ণ ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডরের সম্পুর্ণ তালিকা
- ➤ ভারতের উচ্চতম,বৃহত্তম এবং দীর্ঘতম স্থান
- ➤ ভারতের সবকটি রেলওয়ে জোন এবং তাদের সদর দপ্তরের সম্পুর্ণ তালিকা
- ➤ বিশ্বের সমস্ত দেশের রাজধানী এবং মুদ্রার সম্পুর্ণ তালিকা
- ➤ ভারতের প্রধান বিমানবন্দরগুলির সম্পুর্ন তালিকা
- ➤ ভারতের গুরুত্তপুর্ণ স্টেডিয়ামের সম্পুর্ণ তালিকা
- ➤ ভারতের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের সমস্ত যোজনার সম্পুর্ণ তালিকা
- ➤ ভারতীয় রেলওয়ের বিভিন্ন গুরুত্তপুর্ণ তথ্যের সম্পুর্ন তালিকা
- ➤ 2018 সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের সম্পুর্ণ তালিকা
- ➤ 64 তম ফ্লিমফেয়ার অ্যাওয়ার্ড-2019 এর প্রাপকদের সম্পুর্ণ তালিকা
- ➤ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত গুরুত্তপুর্ণ তথ্য সম্পুর্ণ তালিকা